কোভিড সংক্রমণ রোধে এবার কাজ করবেন প্রশিক্ষিত গ্ৰামীণ চিকিৎসকরাও : সাথে স্বাস্থ‍্য দপ্তর

18th May 2021 7:48 pm বর্ধমান
কোভিড সংক্রমণ রোধে এবার কাজ করবেন প্রশিক্ষিত গ্ৰামীণ চিকিৎসকরাও : সাথে স্বাস্থ‍্য দপ্তর


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : কোভিড ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও  সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবার স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন গ্রামীন ডাক্তারা ।এর জন্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় শুরু হয়েছে গ্রামীন ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।মঙ্গলবার
থেকে জেলার জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শুরু হয়েছে দুই দিনের প্রশিক্ষণ শিবির ।এদিন  বিএমওএইচ ঋত্বিক ঘোষ সহ অন্য   চিকিৎসক ও মেডিকেল অফিসাররা শতাধীক  গ্রামীণ ডাক্তারকে প্রশিক্ষণ দেন । প্রশিক্ষণ নিয়েই কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে পড়ার অঙ্গিকার করলেন গ্রামীণ ডাক্তাররা । রাজ্যের অন্যান জেলার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও আছড়ে পড়েছে কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ । প্রতিদিনই জেলায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে । পাল্লা দিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে । গত ১৫ এপ্রিল জেলায় ২০২ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে । ওই দিন পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের  সংখ্যা  ছিল ১৩২২৪। তার পর থেকে পরবর্তী ৩২দিনে অর্থাৎ ১৭ মে পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৪৪১ জন । স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া এই তথ্য থেকেই পরিস্কার হয়ে গিয়েছে গত ৩২দিনে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫২১৭ জন।অপর দিকে ১৫ এপ্রিল প্রর্যন্ত জেলায় কোভিডে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৮০ জন । ১৭ মে সেই মৃতর সংখ্যা পৌছেচে ২৬১ জনে । অর্থাৎ গত ৩৩ দিনে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে জেলায় ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের এই রিপোর্ট-ই ভাবিয়ে তোলে জেলা প্রশাসনকে।  তার পরেই জেলার গ্রামীণ এলাকায় কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে গ্রামীণ ডাক্তারদের কাজে লাগানোর ব্যাপারে  স্বাস্থ্য দপ্তর উদ্যোগী হয় বলে জানা গিয়েছে ।  কোভিড সংক্রমণ মহামারীর চেহারা নিলেও গ্রামীণ এলাকার মানুষজন এখনও কোভিড সংক্রমণের বিষয়ে সেই ভাবে সচেতন নন।সংক্রমণের লক্ষণ থাকলেও অজ্ঞতার কারণে  চিকিৎসা করার ব্যাপারেও  অবহেলা করেন গ্রামীণ এলাকার মানুষজন।তাই এবার থেকে গ্রামে গ্রামে কোভিড সচেতনতা বৃদ্ধির কাজে  গ্রামীন ডাক্তাররা সামিল হবেন বলে জামালপুর হাসপাতালের বিএমওএইচ ঋত্বিক ঘোষ এদিন জানান । তিনি বলেন ,জামালপুর ব্লকে ৩৮৪ জন গ্রামীন ডাক্তার রয়েছেন ।  তাঁদের জন্যই দুই দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।ঋত্বিক বাবু বলেন, “প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার মানুষজন গ্রামীন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করাতে যান ।ওই গ্রামীণ ডাক্তাররা কোনও রোগীর মধ্যে কোভিড সংক্রমণের লক্ষণ দেখলে তার ব্যাপারে হাসপাতালে জানাবেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তির কোভিড চিকিৎসা বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন ।এ ছাড়াও গ্রামীণ এলাকার মানুষজনকে কোভিড সংক্রমন বিষয়ে গ্রামীন  ডাক্তাররা কিভাবে সচেতনত করবেন সেই বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে “। 

জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খাঁন এই বিষয়ে বলেন, করোনার থাবা থেকে বাংলার মানুষকে বাঁচানোই এখন রাজ্য সরকারের প্রধান লক্ষ ।  সেই কাজে গ্রামীণ ডাক্তারদেরও এবার নিয়োগ করা হল । সকলের প্রচেষ্টাতেই জামালপুর সহ গোটা বাংলা করোনা মুক্ত হবে,এই প্রত্যাশাই তাঁরা রাখছেন’ । 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।